আবার একটা ভূতের বই।’
হ্যাঁ, এটা মনে হতেই পারে। কারণ ভূত নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের বাড়াবাড়ি চলছে। ভূতবাজির চরম সময়ে আমরা এখন দাঁড়িয়ে। বাঙালির ভূত চতুর্দশী আজকাল পাশ্চাত্যের মোড়কে হ্যালোইনে পরিণত হয়েছে।
তবে এই ভূত নিয়ে অদ্ভুতুড়ে কারবার কিন্তু আজকের নয়। বলা যেতে পারে সাহিত্যের একদম জন্মলগ্ন থেকেই নানাভাবে মিশে থেকেছে আর আজ এতো বছরের পরেও ভূতের ভবিষ্যৎ কিন্তু বেশ উজ্বল।
বাংলা সংস্কৃতিতে হোক কিংবা বাংলা লোকসাহিত্যে ভূত বা অলৌকিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সারা দুনিয়ার মত এ বঙ্গদেশেও ভূত নিয়ে ঘটেছে নানান পরীক্ষা। বাঁকা ভূত, মোটা ভূত, লম্বা ভূত, বেঁটে ভূত আরও কতো কি। মামদো ভূত, ব্রহ্মদৈত্য, শাকচুন্নি, পেত্নী কতো রকমের যে ভূত এ বাঙলায় আছে তার হিসেব নেই। তবে হ্যাঁ এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ভুতের গল্প কিন্তু অলৌকিকতার মোড়কে আমাদের বাস্তব জীবনের অন্ধকার ক্লেদাক্ত দিকগুলিকে ছুঁয়ে গিয়েছে বারে বারে।
তবে এখন সমাজের সাথে সাথে ভূতের রূপ বদলেছে রং বদলেছে। বদলেছে ভূতের গল্পও। আর সেরকমই নতুন স্বাদের, নতুন প্রজন্মের পনেরোজনের গল্প নিয়ে ‘সব গল্প ভুতুড়ে’।