খুন, মৃতদেহ, রহস্য  হঠাৎ করেই বাজারে সাসপেন্সের চাহিদা তুঙ্গে। শুনেই কেমন রহস্য খেলে যাচ্ছে শরীরে? আরে বাবা- বিষয়গুলোর মাহাত্ম্য একেই বলে। আর অপরাধপ্রবণ মানসিকতা থেকে যদি উদাহৃত অপরাধগুলো জন্ম নেয়, তাহলে তো কথাই নেই। মানুষের মনে লুকিয়ে থাকা রহস্য-গল্প জানতে কার না ভাল লাগে বলুন তো?

মানুষ রহস্য ভালবাসে। আর সাইকোলোজিক্যাল ক্রাইম থ্রিলার বা মনস্তাত্ত্বিক অপরাধকেন্দ্রিক গল্পে একটা রহস্যজনক রক্ত মাংসের গন্ধ লুকিয়ে থাকে।

‘কিন্তু বাজার জুড়ে হঠাতই ক্রাইম থ্রিলারের এত রমরমা কেন?’ সত্যিই এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর জানা নেই। হয়ত, ফ্যামিলি ড্রামার বাইরে গিয়ে মানুষ অন্য কিছু দেখতে ভালবাসছে। আর অপরাধ জগতের গল্প? সে যে কোনওদিনও পুরনো হওয়ার নয়।

নিউইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার তালিকা এবং নেটফ্লিক্সে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, সাইকো থ্রিলারের জনপ্রিয়তা। থ্রিলার গল্প লেখা অনেকটা নিজের সাথে নিজে দাবা খেলার মত। পার্থক্য একটাই, এখানে সাদা ঘুঁটিগুলো জীবন্ত! কম-বেশি তাদেরও নিজস্ব কিছু ক্ষমতা রয়েছে।

The dark side of the moon- জীবনের অন্ধকারাচ্ছন্ন গল্পগুলোর প্রতি পাঠকের বরাবরই একটা অদম্য আকর্ষণ রয়ে গিয়েছে সে কথা স্বীকার করতেই হয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যাঁরা সরাসরি অপরাধ করেন না, কিন্তু অপরাধমূলক বই পড়েন, তাঁরা অন্যদের থেকে বেশি সহানুভূতিসম্পন্ন মনের অধিকারী হয়ে থাকেন। আর যে বই মানুষের অনুভূতিকে স্পর্শ করতে পারে, সেই বই যে জনপ্রিয় হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

সেরকমই বেশ কিছু সাইকোলোজিক্যাল ক্রাইম থ্রিলার গল্পের পসরা সাজিয়ে, এই সংকলনের জন্ম।