কিছু কিছু বই এমনভাবে পাঠকসমাজে ছাপ ফেলে যায় যা কোনওদিন পুরনো হয় না। পড়ার পরে মনে কোনও একঘেয়েমি আনে না। বরং পুরো বইটা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার পরেও মনে হয় যে, আবার একবার পড়ে দেখি। ‘এই পুলিশ জীবন' বই শুধুমাত্র উপানন্দ মুখোপাধ্যায়ের আত্মকথন নয়। এই কথনের পরতে পরতে আছে স্বাধীনতার আগে ও পরে পুরনো কলকাতা ও পুলিশ বাহিনীর ইতিহাস। উপানন্দবাবুর আনন্দ, যন্ত্রণা এখানে পাঠককে বিদ্ধ করে। কারণ, ওইগুলোর মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসে পুলিশবাহিনীর গর্ব ও অবক্ষয়ের আসল চেহারাটা। তবে চেহারা যেমনই হোক না কেন, এগুলো জানা আমাদের সকলের নাগরিক কর্তব্য।

ওখান থেকে বেরিয়ে গেলাম জ্যোতি বসুর কাছে। জ্যোতিবাবু বললেন, 'এখন আপনি কী করবেন?' বললাম, ‘এখনও সেরকম কিছু ভাবিনি।” উনি বললেন, 'আপনি তো ইচ্ছে করলেই চাকরি করতে পারেন।

বললাম, 'চাকরি করতে পারি কিনা জানি না, তবে চাকরি করার ইচ্ছে আমার নেই। আমার বুকে আমারই বাগানের একটা গোলাপ ফুল লাগানো ছিল। জ্যোতিবাবু ফুলটাকে দেখছিলেন।

আমি বললাম, 'আমি এখন বাগান করব, পড়াশোনা করব এবং অনেক রেকর্ডের কালেকশন আছে, তাই গান শুনব।

উনি বললেন, 'হ্যাঁ, আপনার তো বাগানের শখ আছেই। একবার আপনার পাশের একটা বাড়িতে গিয়ে আপনার ছাদে তৈরি বাগান দেখেছি।

আমি তখন একটু ধরা গলায় বললাম, হ্যাঁ স্যার, আমি ফুল ভীষণ ভালবাসি।

উনি বললেন, 'ফুল আমিও ভালবাসি।