বাংলা সাহিত্যে তন্ত্র নিয়ে গল্প লিখেছেন অনেকেই। আর এই তন্ত্রমন্ত্র নিয়ে চর্চাও করেন অনেকেই।  সেই চর্চাতে যে সবাই সফল হয় তা কিন্তু নয়। বরং বলা চলে তন্ত্রমন্ত্র চর্চা করতে গিয়ে অনেকেই নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন। আবার অনেকে হয়ে উঠেছেন সিদ্ধ সাধক। এই বইতে উল্লেখ করা কালরূদ্র চরিত্র টি তেমনই এক সিদ্ধ সাধকের। তবে অন্যান্য তান্ত্রিকদের মত সাজসজ্জা বা আচার আচরণ তার নয়। সে একজন সদাহাস্যজ্বল সাধারণ ব্যাক্তির মতই বিচরণ করে আর কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতি থেকে জনসাধারণকে উদ্ধার করে। এই উদ্ধার কার্যে সে তার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছুপা হয়না।  তন্ত্রমন্ত্র বিদ্যার চর্চায় সফলতার থেকে বিফলতাই বেশি জোটে। ভৈরব এবং পার্বতীর কথোপকথন ই তন্ত্রবিদ্যা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ভৈরব এবং পার্বতী বারংবার বলেছে তন্ত্রবিদ্যার প্রয়োগ কেবলমাত্র মানব সেবায় করার জন্য। কিন্তু কিছু তান্ত্রিক প্রতিশোধস্পৃহা নিয়ে তন্ত্রবিদ্যার প্রয়োগ করেছে আর তার ফল হয়েছে মারাত্মক। তন্ত্রবিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে কিছু তান্ত্রিক বারবার নিজের সুবিধার্তে মানবসভ্যতার ক্ষতি করতে চেয়েছে কিন্তু সবসময়ই রুখে দাঁড়িয়েছে কালরুদ্র।