শব্দ কি শুধুই এনার্জি বা শক্তির একটি রূপ নাকি তার থেকেও অনেক বেশি কিছু? শব্দ কি কখনও একটি রাজনৈতিক শক্তির আধিপত্য বজায় রাখার লড়াইয়ের আধার হয়ে উঠতে পারে? শব্দের ব্যবহার কি শুভ ও অশুভ শক্তির দ্বন্দ্বে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে? শব্দ কি ব্যক্তিগত ইচ্ছাশক্তির রসদ হয়ে উঠতে পারে বা এর ব্যবহার কি একটি সমাজকে শাসকের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তুলতে পারে?

কল্পবিজ্ঞানের আদলে লেখা এই উপন্যাস আসলে শব্দের বৈজ্ঞানিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্তরে শক্তির নানা বিন্যাসকেই তুলে ধরেছে। উত্তর দিয়েছে উপরের প্রশ্নগুলির। উপন্যাসটির প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠেছে শব্দকে ঘিরে তাদের ভিন্ন ভিন্ন আবেগ। কীভাবে শব্দ-শক্তিকে আঁকড়ে ধরে এক বৈজ্ঞানিক তাঁর ব্যক্তিগত কষ্ট থেকে উঠে আসা স্বপ্নকে সমষ্টির কল্যাণে নিয়োজিত করতে চাইছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে কীভাবে লড়াই করার শক্তি সঞ্চয় করছেন উপন্যাসের কুশীলবেরা, কীভাবে শব্দ-শক্তির ভয়ে রাজনৈতিক শাসকেরা বিচলিত হয়ে উঠছেন, আবার শব্দ-শক্তিকে ঘিরে কী ভাবে আমজনতাকে উদ্বেলিত হয়ে উঠছে— উপন্যাসটির বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে শক্তির বহুমাত্রিক রোমাঞ্চকর আখ্যান তৈরি হয়েছে। যা আট থেকে আশি সব বয়সী পাঠকদের মন ছুঁয়ে যাবে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, এই উপন্যাসে পাঠকেরা আধুনিক রাজনীতিতে শক্তির

টানাপড়েনের ছবিও দেখতে পাবেন।