Upanayas Samagra-1 উপন্যাস সমগ্র - ১
মানুষ গল্প শুনতে চায় কেন? কোনো তথ্য বা খবর জানবার জন্য নয়। সমাজটা খারাপ কি ভালো, তা বোঝবার জন্যও নয়। সাধারণ বুদ্ধি দিয়েই সে সমাজের ফাঁকিগুলো বুঝতে পারে। এমন কিছু মানুষের বেঁচে থাকার অন্তরঙ্গ কথা সে শুনতে চায় যাদের সে জানে না। সেই মানুষগুলোর স্বপ্ন-যন্ত্রণা-কামনা-বাসনা-পুড়ে যাওয়া। জীবনের সেই সব দিক, যা দৈনন্দিনের মধ্যে দেখা যায় না।
...লেখাকে তাই ঢুকতে হয় মানুষের অস্তিত্বের অন্ধকারে, তাঁর গোপন কুঠুরিগুলিতে, স্বপ্নে-দুঃস্বপ্নে, তার হস্তমৈথুনের মুহূর্তে হত্যালিপ্সার বাসনায়, যেখানে বেঁচে
থাকে দৈনন্দিনের বাইরে অন্য একটা মানুষ। আমি যে উপন্যাসের কথা ভাবি, সেখানে তাই কোনো পরম্পরাবাহী ঘটনার ধারা নেই। আমার ঔপন্যাসিক ঝড়ের সমুদ্রে দিকহীন নাবিকের মতো, সে পথ খোঁজে, চরিত্রদের দিকে সে তাকিয়ে থাকে বিস্ময়াহত চোখে, চেনার ভিতরে মানুষটা তাহলে এতই অচেনা, কোন পথে সে যাবে জানে না... এই অজ্ঞানতাই শিল্পের জ্ঞান, যার সামনে লেখক লিলিপুট মাত্র ।
সর্বগ্রাসী জীবনই আমি চেয়েছিলাম, শুনুন আপনারা, হে বায়ু ও জল, সেই বৃত্তাকার ঘূর্ণায়মান নীল নর্তকীদের মতো জীবন, যারা ক্যানভাস ছেড়ে উড়ে যায় আকাশে, তারপর আকাশ পেরিয়ে আরও গভীর মহাশূন্যে, যেখানে অগণিত জীবিত ও মৃত নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যে তারা নাচতে থাকে, তেমনই এক সর্বগ্রাসী জীবন......আমার অতীত মানে একটা ট্রেন উগরে দিচ্ছে গৃহহীন মানুষদের আর আরশোলারা পাখি হয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে সারা ঘরে, আমার ভবিষ্যৎ মানে হৃতগৌরব ফেরানো ব্যর্থ চেষ্টা, এর মাঝে আমি আমার বর্তমান বাঁচাতে চেয়েছি এক সর্বগ্রাসী আকাঙ্ক্ষায়, কিন্তু আমি দেখলাম, আমার জীবন ধীরে ধীরে একটা মজা নদী হয়ে যাচ্ছে, জল নেই, শুধু দু-পাশের নদীগাত্রে নানারকম ক্ষতচিহ্ন.....এই ধূসরতার বন্দিত্ব থেকে বেরিয়ে যেতে চাই আর এই বেরিয়ে যাওয়ার মধ্য থেকেই শুরু হতে পারে অন্য এক উপন্যাস....এই দমবন্ধ হয়ে আসা আমি ও আমার শহরটিকে নিয়ে নয়, ধরা যাক সেই উপন্যাসে একজন অপরিচিত মানুষ একটি নতুন ভূখণ্ড আবিষ্কার করেছে, হে বায়ু ও জল, আপনারা আমাকে এই ধূসরতা থেকে মুক্তি দিন।
তিমির লক্ষ করছিল, তরুলতা ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। আগের মতো সে আর কথা বলতে আসে না, সিঁড়ির কোনো ধাপে চুপচাপ বসে থাকে বা কুয়োতলায় বালতির পর বালতি জল তোলে আর ফেলে দেয়। দিনের পর দিন তরুলতা স্নান করে না, তার গায়ে ময়লার কালো আস্তরণ, জামা-কাপড় বদলায় না। তিমির একদিন ছাদে গিয়ে দেখল, তরুলতা আকাশের দিকে তাকিয়ে বসে আছে, দুটি ঘুড়ি উড়ছে আকাশে, একে অপরকে কাটতে চাইছে, আর তরুলতা মাঝে মাঝে হাততালি দিয়ে চিৎকার করে উঠছে, 'সুতো ছাড়... সুতো ছাড় পেটকাটি... আর একটু টান, টেনে ধর মুখপোড়া...''এই অংশটি 'তিমিরের হার্লেম' উপন্যাসের একটি অংশ। রবিশংকর বলের কলমের ম্যাজিক তথাকথিত সাহিত্যের বাঁধাধরা সমস্ত নিয়ম খুব সহজেই ভেঙে চুরমার করে দেয়। এই ভিন্ন ধারার লেখকের উপন্যাস সমগ্র প্রথম খণ্ডে ধরা আছে ছটি উপন্যাস। যথাক্রমে
●স্বপ্নযুগ
●নীল দরজা লাল ঘর
●মধ্যরাত্রির জীবনী
●পোখরান '৯৮
●বাসস্টপে একদিন
●তিমিরের হার্লেম
Name in Bengali | উপন্যাস সমগ্র - ১ |
---|---|
SKU | DE9788119033966 |
Type of Product | Physical |
Authors | Rabishankar Bal |
Publisher list | Dey's Publishing |
Languages | Bengali |
Binding | Hardbound |
Publishing Year | 2023 |
You may also like :
-
Upanyasa samgrahaSpecial Price ₹675.00 Regular Price ₹750.00
-
UPANYAS SAMAGRA 5TH (Bimal Kor)Special Price ₹450.00 Regular Price ₹500.00Out of stock
-
Upanyas Samagra 16Special Price ₹1,125.00 Regular Price ₹1,250.00
-
Charti UpanyasSpecial Price ₹360.00 Regular Price ₹400.00